বাংলাদেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নের মূল চালিকাশক্তি হলো দেশের কর্মক্ষম জনশক্তি। মোট জনশক্তির গুরুত্বপূর্ণ অংশ হলো যুব সমাজ। বিগত ১৯৭৮ সালের ডিসেম্বর মাসে এক গেজেট বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে যুব উন্নয়ন মন্ত্রনালয় সৃষ্টি হলেও যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রনালয় সৃষ্টি হয় ১৯৮৪ সালে। মাঠ পর্যায়ে কার্যক্রম সম্প্রসারণ ও বাস্তবায়নের জন্য যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৮১ সালে। যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর, সুনামগঞ্জ কার্যালয় স্থাপিত হয় ১৯৯৫ সালে। দেশের মোট জনসংখ্যার প্রায় এক-তৃতীয়াংশ যুব সমাজ। যুবনীতিমালা ২০১৭ অনুসারে ১৮-৩৫ বছরের জনগোষ্ঠীকে যুব বলে আখ্যায়িত করা হয়। আদমশুমারী গৃহ গণনা ২০১১ অনুসারে বাংলাদেশের যুব এর সংখ্যা ৪,৮০,২৪,৭০৪ (চার কোটি আশি লক্ষ চব্বিশ হাজার সাতশত চার) জন। আদমশুমারী ২০১১ অনুসারে সুনামগঞ্জ জেলায় মোট যুব এর সংখ্যা ৬,৯৭,৮৩১ জন। তন্মধ্যে যুবক ৩,২৭,৩৪০ জন,যুব মহিলা ৩,৭০,৪৯১ জন।
যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের প্রধান কাজ স্বল্প শিক্ষিত বেকার যুবদের দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য চাহিদা ভিত্তিক বিভিন্ন ট্রেডে প্রশিক্ষণ প্রদান এবং আত্মকর্মসংস্থানের জন্য প্রকল্প গ্রহনকারীদের স্বল্প সার্ভিস চার্জে ৪০,০০০ হতে ১,০০,০০০/- টাকা পর্যন্ত যুব ঋণ প্রদান করা। এ ছাড়া যুব সংগঠনকে রেজিষ্ট্রেশন (জুলাই ২০১৭ হতে শুরু) ও প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য অনুদান প্রদান করা হয়। নারীর ক্ষমতায়ন অটিজম বিষয়ে যুবদের করণীয়, বৃক্ষরোপনে উদ্বুদ্ধকরণ, যৌতুক ও বাল্য বিবাহ রোধ, মাদক ও জঙ্গীবাদ বিরোধী কার্যক্রমসহ এইচআইভি/এইডস ও প্রজনন স্বাস্থ্য সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য কর্মশালা করা হয়। জাতীয় যুব দিবস, আন্তর্জাতিক যুব দিবসসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ন দিবস পালন করা হয়। ডিজিটাল বাংলাদেশ গঠনে যুবদের সম্পৃক্ত করা ও বায়োগ্যাস প্লান্ট নির্মাণে সহায়তা প্রদান করা হয়।
Planning and Implementation: Cabinet Division, A2I, BCC, DoICT and BASIS